আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিত্যব্যবহার্য একটি পণ্য হলো ব্যাটারি। মুঠোফোন, ল্যাপটপ, হাতঘড়ি, দেয়ালঘড়ি, রেডিও, গাড়ি, টর্চলাইট, নানা রকম খেলনা—কোথায় নেই ব্যাটারি! বিজ্ঞানের দারুণ এই আবিষ্কার জীবনকে ভীষণভাবে সহজ করে দিয়েছে। একবার ভাবুন তো, সঙ্গে থাকা মুঠোফোন বা ল্যাপটপ চালানোর জন্য যদি কেন্দ্রীয় উৎসশক্তি বা বিদ্যুতের দরকার হতো, তাহলে ব্যাপারটা কেমন বিদঘুটে আর অসম্ভব হতো! এই ব্যাটারির জন্যই বিভিন্ন ব্যবহার্য ইলেকট্রিক পণ্য সহজে বহনযোগ্য হয়ে উঠেছে।
ব্যাটারির জন্মের ইতিহাস বহু পুরোনো। এটি আবিষ্কারের বহুমাত্রিক পর্যায় রয়েছে। তবে ১৮০০ সালে ইতালির বিজ্ঞানী আলেসান্দ্রো ভোল্টার আবিষ্কৃত বিদ্যুৎ কোষ, যাঁকে তিনি বলেছেন 'ভোল্টাইক পাইল', থেকেই ব্যাটারি ব্যবহারিক রূপ লাভ করে। অবশ্য 'ব্যাটারি' নামকরণ আগেই হয়েছিল। ১৭৪৮ সালে বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ও বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন প্রথম 'ব্যাটারি' শব্দটি ব্যবহার করেন।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি, ব্যাটারি দিবস। ১৭৪৫ সালের এই দিনে জন্মেছিলেন আলেসান্দ্রো ভোল্টা। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিবসটি পালিত হয়।
No comments:
Post a Comment